Posts

Showing posts from September, 2017

ক্ষমতার তত্ত্ব-তালাশঃ অবিশ্বাসের দর্শন বনাম বিশ্বাসের দর্শন

ক্ষমতার  তত্ত্ব-তালাশঃ অবিশ্বাসের দর্শন বনাম   বিশ্বাসের দর্শন   --- --- --- ---- নাস্তিক্যবাদ  ক্ষমতার অণু-বিশ্লেষণ করে বস্তুবাদী জ্ঞানতাত্ত্বিক ল্যাবরেটরিতে, মানুষের জাগতিক ক্ষমতা-সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো রকম ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ ছাড়া।                                  ক্ষমতা তাই, মানুষের সামাজিক সম্পর্কের ফসল মাত্র।  ক্ষমতা মানুষের সৃষ্টি, এবং এর দায়-দায়িত্ব কেবল মানুষের উপরই বর্তায়। মার্ক্সবাদী দৃষ্টিকোণে ‘ক্ষমতার’ শ্রেণী-চরিত্র আছে। আদিম সাম্যবাদী যুগের যৌথ স্বার্থের সামাজিক সম্পর্ক ভেংগে যখন থেকে সম্পদের উপর ব্যক্তি মালিকানার উদ্ভব ঘটলো, ঐতিহাসিক বিকাশের পথ ধরে, আর শ্রেণী বিভক্ত সমাজে মানুষের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ধরণও পাল্টাতে শুরু করলো; ক্ষমতারও চারিত্রিক রূপান্তর ঘটতে থাকলো । মার্কসীয় মতবাদ অনুসারে শ্রেণীগত ক্ষমতা ব্যক্তিগত ক্ষমতার চেয়ে ক্ষমতাবান, ব্যক্তি মানুষ ব্যক্তিগতভাবে নিজের ক্ষমতাকে স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে পারে না, যতোক্ষণ না শ্রেণীচ্যুত হয়। আন্তনীয় গ্রামসি  হেজিমনি তত্ত্ব দিয়ে ক্ষমতাকে খানিকটা ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক শক্তি সিভিল সমাজের

মন মানব অস্তিত্বের এক রহস্যময় উপস্থিতি

মন মানব অস্তিত্বের এক রহস্যময় উপস্থিতি -আইনুল বারী -- --- ---- মন মানব অস্তিত্বের এক রহস্যময় উপস্থিতি: মন মানব অস্তিত্বের এক রহস্যময় উপস্থিতি, যার সাথে জুড়ে আছে অন্তর্লীন elan vital। ব্যক্তি মানুষ যা পর্যবেক্ষণ করে ও বেশি ভাবিত হয়, বিশ্বজগত তাকেই মনোযোগের কেন্দ্রে নিয়ে আসে, তাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। এই গুরুত্বপূর্ণ করে তোলার মানে হলো, অন্য বিষয়গুলি দূরে সরে যাবে, আর মূল ভাবনাটি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। ব্যক্তি মানুষের কর্ম পরিচালিত হয় পর্যবেক্ষণ ও ভাবনার দ্বারা। পর্যবেক্ষণ ও ভাবনাগুলি চাহিদাপত্র, যার ভিত্তিতে তার চারপাশের জগতটা সাজতে থাকে। যদি মানুষ সুন্দর হয়, তবে চারপাশের জগতের সব কিছু সুন্দর হয়ে উঠবে। যদি সে অসুন্দর হয়, সৃষ্টিজগতও অসুন্দর হয়ে উঠবে। অসুন্দর হচ্ছে তাই যা আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তার ভালোবাসা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। সুন্দর মানে হচ্ছে সত্য-সততা-ন্যায়বিচার-আত্মশুদ্ধি, সৃষ্টাকে চিনতে পারার ও কাছে আসার শক্তি। প্রত্যেক মানব-মনই বিশ্ব-মন, যেখানে প্রত্যেকে মহা-বিশ্বের কেন্দ্রে রয়েছে, কেউ প্রান্তে নেই। এমন অনুগ্রহই বুঝিয়ে দেয়, আমাদের সুন্দর না হওয়া

গড়ে তুলতে হবে ভালো মানুষের ভালোবাসার নেটওয়ার্ক- আইনুল

গড়ে তুলতে হবে ভালো মানুষের ভালোবাসার নেটওয়ার্ক - আইনুল   অন্য অনেকের মতো বাংলাদেশে এমন এক  ‘ ভালোমানুষের ভালোবাসার নেটওয়ার্ক ’  এর স্বপ্ন দেখি ,  যা গড়ে উঠবে স্বতস্ফুর্তভাবে। এগিয়ে আসা তরুণ-যুবা ও প্রবীণদের সম্মিলিত ভালোবাসায়। শুরুতে এটি মহা কঠিন মনে হলেও এক সাথে আন্তরিকতা ও বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটাতে পারলে এটি দ্রুতই সহজ হয়ে উঠবে এবং সামাজিক আন্দোলনের আকার নেবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা আম জনতা সব কিছুর দায়-দায়িত্ব চাপিয়ে দিতে চাই সরকার ও সরকারী সংস্থগুলির উপর ,  যা মোটেও ঠিক নয়। রাষ্ট্র ও সরকার   তার নাগরিকের সামাজিক বিকাশের সহায়ক শক্তি হতে পারে ,  কিন্তু দেশকে এগিয়ে নিতে   হলে দেশের মানুষকেই অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।প্রথমে কিছু মানূষকে ভেতর থেকে আত্ম-শুদ্ধির পথ খুঁজে নিয়ে অন্যদের পনুপ্রাণিত করতে হবে । গড়ে তুলতে হবে বিরাট ও ভয়ংকর   অশুভ স্বার্থপর   সামাজিক চক্রের বিরুদ্ধে ভালো মানুষের নেটওয়ার্ক  ।  তবেই না দেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে। ২। ভালো মানুষের নেটওয়ার্ক এক অত্যন্ত প্রয়োগবাদী প্রস্তাব। এর কোনো সংকীর্ণ রাজনৈতিক বা গোষ্ঠীগত বা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নেই। এ হলো সামা

রখাইনে কারা বহিরাগত?-রোহিঙ্গা নিধন'২০১৭ -আইনুল বারী

রখাইনে কারা বহিরাগত?- রোহিঙ্গা নিধন'২০১৭ -আইনুল বারী তারিখ-১২/৯/২০১৭ -- -- -- ---- শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পাওয়া আন সান সুকি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উদ্ধত ভঙ্গিতে বলছেন, ওরা বহিরাগত, বাঙ্গালী। অথচ যতোটুকু ইতিহাস থেকে জানি রাখাইন রাজ্য দীর্ঘ দিন যাবৎ বার্মা থেকে আলাদা আবাসভূমি ছিলো। ১৭৮৪ এর ৩১ ডিসেম্বরে বার্মার কন বং শাসক ব্যাপক গণহত্যার মাধ্যমে( প্রায় দু লাখের উপর নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যা করা হয়। সূত্রঃবাংলাপিডিয়া) রাখাইন রাজ্য দখন করে নিলো। এই দখলদারির আগে থেকেই রাখাইন অঞ্চলে ভারত ও বাংলাদেশ লোকেদের যাতায়ত, এ অঞ্চলের মানুষ সে দেশে গিয়ে আবাস গেড়ে সে অঞ্চলের অধিবাসী হয়েছিলো। তারও শত শত বছর আগে সেখানে সুফিবাদী-মানবতাবাদী ধারায় ইসলামের বাণী পৌঁছে গিয়েছিলো। আরব বণিকদের সাথেও রাখাইন অধিবাসীদের বাণিজ্যের সম্পর্ক ছিলো। দৌলত কাজী আলাওলরা ছিলেন আরকান রাজ সভার বিখ্যাত কবি। তারা বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের সেরা কবি ছিলেন। দৌলত কাজী (১৬০০-১৬৩৮) আরাকান রাজসভার আশরাফ খানের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন।আশরাফ খানের প্রশংশায় লিখেছেনঃ- কর্নফুলী নদী পূর্বে আছে এক পূরী রোসাঙ্গ নগরী নাম

রোহিঙ্গা নিধন'২০১৭ - আইনুল বারী

রোহিঙ্গা নিধন'২০১৭ - আইনুল বারী ৭/৯/২০১৭ --            --          -- নির্মম জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের শিকার হচ্ছে মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানরা।  বসতি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে নিরীহ মানুষদের, ধর্ষণ করা হয়েছে নারীদের, শিশুরাও অত্যাচার-নিপীড়ন থেকে রেহাই পায়নি। মায়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তে  মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে, যার বিস্ফোরণে মারা যাচ্ছে বা পঙ্গু হচ্ছে পলায়নপর নিরীহ রোহিঙ্গারা । একে গণহত্যাই বলা উচিত। এই হত্যাযজ্ঞকে কোনোভাবেই আর লুকিয়ে রাখাা যায়নি- স্যাটেলাইট ছবি, সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হাজার হাজার লাইভ ভিডিও ফুটেজ, ধ্বংসের ছবি, ঘর-বাড়ি ছেড়ে জীবন নিয়ে পালিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ ভয়ার্ত কষ্টক্লান্ত মানুষের অভিব্যক্তি ও কথা রোজ প্রমাণ দিচ্ছে মায়নমারের  অভ্যন্তরের জাতিগত নির্যাতনের ও হত্যাযজ্ঞের মাত্রা কতো ভয়াবহ। আজ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে লক্ষ লক্ষ অসহায় রোহিঙ্গা মুসলমান । এই মানুষগুলি এমনি এমনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশে আসেনি। তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসার অর্থ এই মানুষগুলি এ দেশে আশ্রয় না পেলে তাদের আরও ভয়াবহ পরিণতি হতো...থেকে যেতো গণহত্যার শিকার হওয়ার

নববর্ষ ভাবনা -আইনুল বারী

  নববর্ষ   ভাবনা - আইনুল বারী ---- --- --- এক। নগর   প্রাণ   কেন্দ্রগুলোয়   পহেলা   বৈশাখ   এখন   ফুর্তির   কার্নিভালে   পরিণত   হয়েছে। বলতে   হয়   ভোগবাদী   বাজারব্যস্থা   ও   এর   প্রতিনিধি   বিনোদন - উপকরণসমূহ   ও   ফ্যাশান   হাউজগুলির   কল্যাণে।এর   একটা   বিশেষ   মূল্য   থাকতো   যদি   তা   কালপ্রবাহে   রূপান্তরিত   হয়েও   জাতির   বোধ   ও   বিবেকের   সাথে   মিলে - মিশে   থাকতো।   কিন্তু   বাজার   ব্যবস্থার   ভোগের   উৎসবের   সাথে   প্রাণের   উৎসবের   দেশজ   আত্মার   সংযোগ   কোথায় ?  দূর্ণীতির   ব্যধিগ্রস্ত   সমাজ   ভোগবাদের   উপকরণ   বানিয়েছে   সব   কিছুকেই।   ফলে   কোনো   দিবসেরই   যেনো   আলাদা   সারসত্তা   নিয়ে   টিকে   থাকার   অবস্থা   নেই   । তরুণরাই   সবচেয়ে   বেশি   হিপনোটাইজড।উদযাপনের   বিভিন্ন   দিবসে   নগরের   বিলাসী   মানুষদের   রোমাঞ্চকর   সুখানুভূতির   মোহ   দ্বারা   ঘুম   পারিয়ে   রেখেছে   ভোগবাদী   বাজার   ব্যবস্থার   প্রবঞ্চকরা।   পহেলা   বৈশাখের   এমন   উৎসবে   তাই   অনুপস্থিত   দেশের   অধিকাংশ   দরিদ্র   ও   গ্রামীন   মানুষ।   জীবন

আমাদের সন্তানদের বেড় ওঠা, আমাদের প্রত্যাশা । -আইনুল বারী

আমাদের সন্তানদের বেড় ওঠা, আমাদের প্রত্যাশা । -আইনুল বারী - -- --  - 'প্রতিদিনের একটা চেনা-জানা পরিবেশ কল্পনা করা যাক... যেখানে বাচ্চাকে রোজ সকালে মা টেনে তুলছেন ঘুম সম্পূর্ণ হবার বেশ আগেই।তাকে ধরে-বেঁধে কাঁধে বই-খাতার বিরাট স্তুপ চাপিয়ে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন। বাড়ি ফিরে এক গাদা হোম টাস্ক।বলা উচিত পড়ানো না, গেলানো হচ্ছে তাকে। একটার পর একটা যন্ত্রনাদায়ক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে রাত দিন কীভাবে যেনো পেরিয়ে যাচ্ছে শিশুর।তার ঘুরে বেড়ানোর স্বাদ ফ্লাট বাসার পোল্ট্রি ফর্মের এক ভৌতিক খোপের মধ্যে আটকে আছে। ওর মধ্যেই সে দৌড়াদৌড়ি করে। ওটাই তার খেলা। সেখানে তার কোনো যুক্তি নেই, শুধুই এলোমেলো দৌড় আর চিৎকার-হুল্লোড়। বিনোদনের সুযোগ পেয়ে যখন সন্ধ্যায় টিভিতে খেলা দেখতে বসে, আর দেশের টাইগাররা যখন চরম হতাশ করে, মাথা নিচু করে সাজঘরে ফেরে, ফুটবলাররা মালদ্বীপ ভুটানের কাছে অনবরত কুপোকাত হয়, কাবাডিতে হেরে গিয়ে দল মাথা নিচু করে সাজঘরে ফেরে, তখন আমাদের শিশুদের মনে হেরে যাওয়াটাই চিরকালের নিয়তি বলে মনে হয়। কখনো, চঞ্চল বাচ্চারা শান্ত হয়ে টিভিতে কার্টুন,বা মায়ের সাথে হিংসা-বিদ্বেষের সিরিয়াল দেখতে বসে।সব চে

আজ আমাদের শিশুদের জন্য 'আদর্শ লিপি' নেই - আইনুল বারী

আজ আমাদের শিশুদের জন্য  'আদর্শ লিপি' নেই - আইনুল বারী -  --  -- এক সময়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বা পাঠশালায় শিক্ষা জীবন শুরু হতো আদর্শ লিপি পড়ে। সেখানে আবৃত্তি করে সহজ  ভাষায় শেখানো হতো, 'সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি , সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি। আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে , আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে। ভাইবোন সকলেরে যেন ভালোবাসি , এক সাথে থাকি যেন সবে মিলেমিশি। ভালো ছেলেদের সাথে মিশে করি খেলা , পাঠের সময় যেন নাহি করি হেলা। সুখী যেন নাহি হই আর কারো দুখে , মিছে কথা কভু যেন নাহি আসে মুখে। সাবধানে যেন লোভ সামলিয়ে থাকি , কিছুতে কাহারে যেন নাহি দেই ফাঁকি। ঝগড়া না করি যেন কভু কারো সনে , সকালে উঠিয়া এই বলি মনে মনে।'-(আমার পণ -মদনমোহন তর্কালঙ্কার) কিন্তু আজ আমাদের শিশুদের জন্য  'আদর্শ লিপি' নেই। শিশুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় অনর্গল হাট টিমা টিম টিম ধরণের  অর্থহীন ছড়া আবৃত্তির  মধ্যে দিয়ে। এগুলিকে বলে নন সেন্স ছড়া, 'হাট টিমা টিম টিম তারা মাঠে পাড়ে ডিম তাদের খারা দুটো শিং তারা হাট টিমা টিম টিম ।' প্রজন্মের শিক্ষাকে বোঝার জন্য এটি হয়তো ছোট একটি উদা

আমরা কীভাবে চিন্তা করি ? -আইনুল বারী

আমরা কীভাবে চিন্তা করি  ?  -আইনুল বারী  ---- এর উত্তর, যেভাবে কথা বলি । সুত্র হলো, ভাষার কাঠামো চিন্তার কাঠামোকে প্রতিস্থাপিত করে । যাদের কথাগুলো অসংলগ্ন সমস্যাটা আসলে তাদের চিন্তায় । চিন্তা সুশৃংখল না হলে ভাষা সুন্দর হতে পারে না। ভাষা দুর্বোধ্য হলে চিন্তাও দুর্বোধ্য হয়ে যায়, যার চিন্তায় যুক্তি নেই তার ভাষাও হয় খাপছাড়া আর মানুষও হয় ক্ষ্যাপাটে। কারো ভাষা প্রয়োগ লক্ষ্য করে জানা সম্ভব মানুষটার আসলে চিন্তাগত/বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে কেমন। যে ঠিকমতো উচ্চারণই করতে পারে না কথা বলতে পারে না সহজ একটা কথা প্রকাশ করতে ডিগবাজি খায় সে কীভাবে অন্যকে বুঝবে বা নিজেকে বোঝাবে? এর কারণ আমাদের মস্তিষ্ক যে সংবেদন, ধারণা আর অনুমানগুলি অর্জন করে সেগুলোই আসলে একত্রে তার বুদ্ধিবৃত্তিক সত্তাকেই রচনা করে । পরিচ্ছন্ন ভাষাবোধ যে মানুষকে তৈরি করে তা কিনতু ক্ষমতার প্রকৌশল থেকে ভিন্ন । তাই কখনো কখনো ক্ষমতাশীল মানুষের ভাষা খাপছাড়া ও বিপজ্জনক হয়ে যেতে পারে । বহুদিন আগে একজন তৃণমূল পর্যায়ের এক নেতার মুখে শুনছিলাম, তিনি তার বক্তৃতায় 'মুগরির খামার' 'মুগরির খামার' বলছেন। তিনি তার এলাকার মানুষকে স্বপ্ন দেখা