নববর্ষ ভাবনা -আইনুল বারী
নববর্ষ ভাবনা
-আইনুল বারী
---- --- ---
এক।
নগর প্রাণ কেন্দ্রগুলোয় পহেলা বৈশাখ এখন ফুর্তির কার্নিভালে পরিণত হয়েছে।
বলতে হয় ভোগবাদী বাজারব্যস্থা ও এর প্রতিনিধি বিনোদন-উপকরণসমূহ ও ফ্যাশান হাউজগুলির কল্যাণে।এর একটা বিশেষ মূল্য থাকতো যদি তা কালপ্রবাহে রূপান্তরিত হয়েও জাতির বোধ ও বিবেকের সাথে মিলে-মিশে থাকতো। কিন্তু বাজার ব্যবস্থার ভোগের উৎসবের সাথে প্রাণের উৎসবের দেশজ আত্মার সংযোগ কোথায়?
দূর্ণীতির ব্যধিগ্রস্ত সমাজ ভোগবাদের উপকরণ বানিয়েছে সব কিছুকেই। ফলে কোনো দিবসেরই যেনো আলাদা সারসত্তা নিয়ে টিকে থাকার অবস্থা নেই ।
তরুণরাই সবচেয়ে বেশি হিপনোটাইজড।উদযাপনের বিভিন্ন দিবসে নগরের বিলাসী মানুষদের রোমাঞ্চকর সুখানুভূতির মোহ দ্বারা ঘুম পারিয়ে রেখেছে ভোগবাদী বাজার ব্যবস্থার প্রবঞ্চকরা। পহেলা বৈশাখের এমন উৎসবে তাই অনুপস্থিত দেশের অধিকাংশ দরিদ্র ও গ্রামীন মানুষ। জীবনের স্পন্দন সেখানে অনুপস্থিত।কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষ যদি নাই খেতে পারলো তিন, চার বা দশ হাজার টাকা দামের ইলিশ তবে এমন উৎসবকে কীভাবে বলে তা জাতীয় উৎসব? সকল মানুষের উৎসব? এই প্রবঞ্চনা নষ্ট জীবন বোধ থেকে জন্ম নিয়েছে।
নগর প্রাণ কেন্দ্রগুলোয় পহেলা বৈশাখ এখন ফুর্তির কার্নিভালে পরিণত হয়েছে।
বলতে হয় ভোগবাদী বাজারব্যস্থা ও এর প্রতিনিধি বিনোদন-উপকরণসমূহ ও ফ্যাশান হাউজগুলির কল্যাণে।এর একটা বিশেষ মূল্য থাকতো যদি তা কালপ্রবাহে রূপান্তরিত হয়েও জাতির বোধ ও বিবেকের সাথে মিলে-মিশে থাকতো। কিন্তু বাজার ব্যবস্থার ভোগের উৎসবের সাথে প্রাণের উৎসবের দেশজ আত্মার সংযোগ কোথায়?
দূর্ণীতির ব্যধিগ্রস্ত সমাজ ভোগবাদের উপকরণ বানিয়েছে সব কিছুকেই। ফলে কোনো দিবসেরই যেনো আলাদা সারসত্তা নিয়ে টিকে থাকার অবস্থা নেই ।
তরুণরাই সবচেয়ে বেশি হিপনোটাইজড।উদযাপনের বিভিন্ন দিবসে নগরের বিলাসী মানুষদের রোমাঞ্চকর সুখানুভূতির মোহ দ্বারা ঘুম পারিয়ে রেখেছে ভোগবাদী বাজার ব্যবস্থার প্রবঞ্চকরা। পহেলা বৈশাখের এমন উৎসবে তাই অনুপস্থিত দেশের অধিকাংশ দরিদ্র ও গ্রামীন মানুষ। জীবনের স্পন্দন সেখানে অনুপস্থিত।কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষ যদি নাই খেতে পারলো তিন, চার বা দশ হাজার টাকা দামের ইলিশ তবে এমন উৎসবকে কীভাবে বলে তা জাতীয় উৎসব? সকল মানুষের উৎসব? এই প্রবঞ্চনা নষ্ট জীবন বোধ থেকে জন্ম নিয়েছে।
ভোগবাদী সংকীর্ণতা ও উপেক্ষার সংস্কৃতি থেকে আমাদের প্রাণের দেশজ জাতীয় দিবস/উৎসব গুলিকে বাঁচাতে হবে।প্রাণের সুখ ও দেশজ উৎসব/দিবসগুলিকে এমনভাবে বিকশিত করতে হবে যার অনুপ্রেরণা আসে পরষ্পর সহানুভূতিশীল সৎ,মানবিক জীবনবোধ থেকে।...
(আসুন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ নিধন ও ইলিশ খাওয়া বন্ধ করি।)
(আসুন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ নিধন ও ইলিশ খাওয়া বন্ধ করি।)
দুই।
'পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার পাশাপাশি 'সং যাত্রা'রও আয়োজন করা যেতে পারে। সেখানে থাকবে সমাজের নানান এভিল ক্যারেক্টরগুলো। রাজস্ব ফাঁকি দেয়া ব্যাবসায়ী, ঘুষখোর আমলা, নীতিহীন রাজনীতিক, জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবী ,ধূর্ত আইন ব্যবসায়ী,কসাই ডাক্তার, ভন্ড পীর, নকলবাজ চিত্রপরিচালক, ফাঁকিবাজ শিক্ষক, মাফিয়া ভূমিদস্যু,মাদকাসক্ত সন্তান, বখাটে মাস্তান, কলংকিত খুনী, নির্লজ্জ কবি ইত্যাদি। ক্যারেক্টারগুলো বিভিন্ন কমিক অলংকরণে সাজানো হবে। মিছিলের আগে পরে থাকবে বিভীষণরা একে একে পেটমোটা, নাক মোটা, গলায় দড়ি ঝুলানো টাই, কারো মুখের হা-টা বিরাট...। এটা করা গেলে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা সহজ হবে। আমাদের বাচ্চারা বড় হয়ে ওসব হতে চাইবে না।...'
'পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার পাশাপাশি 'সং যাত্রা'রও আয়োজন করা যেতে পারে। সেখানে থাকবে সমাজের নানান এভিল ক্যারেক্টরগুলো। রাজস্ব ফাঁকি দেয়া ব্যাবসায়ী, ঘুষখোর আমলা, নীতিহীন রাজনীতিক, জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবী ,ধূর্ত আইন ব্যবসায়ী,কসাই ডাক্তার, ভন্ড পীর, নকলবাজ চিত্রপরিচালক, ফাঁকিবাজ শিক্ষক, মাফিয়া ভূমিদস্যু,মাদকাসক্ত সন্তান, বখাটে মাস্তান, কলংকিত খুনী, নির্লজ্জ কবি ইত্যাদি। ক্যারেক্টারগুলো বিভিন্ন কমিক অলংকরণে সাজানো হবে। মিছিলের আগে পরে থাকবে বিভীষণরা একে একে পেটমোটা, নাক মোটা, গলায় দড়ি ঝুলানো টাই, কারো মুখের হা-টা বিরাট...। এটা করা গেলে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা সহজ হবে। আমাদের বাচ্চারা বড় হয়ে ওসব হতে চাইবে না।...'
(আমার পুরোনো লেখা থেকে সংগৃহীত ।)
Comments
Post a Comment