বুড়িগঙ্গার কাছে আমরা ঋণী কতোটা ? -আইনুল বারী
বুড়িগঙ্গার কাছে আমরা ঋণী কতোটা ?
-আইনুল বারী
-----------------
we all belong to an ancient identity. Stories are the rivers that take us there. -Frank Delaney
পৃথিবীতে কোনো সভ্যতাই গড়ে ওঠেনি কোনো না কোনো নদীর আত্মত্যাগ ছাড়া।শহরকে গর্ভে ধারণ করে মায়াবতী নদী। নদীর পলিতে জেগে উঠে উর্বর শস্যের অকৃত্রিম ক্ষেত্র,পর্যাপ্ত সহজ খাদ্যভান্ডার হিসেবে মাছ আরোহণের অবারিত সুযোগ,খাওয়ার উপযোগী মিষ্টি পানির ব্যবহার, গো-চারণভূমি, মানুষের চলার পথ, আর সেখানেই তাই মানুষের আবাস ভূমি, বিভিন্ন সভ্যতা। পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাগুলির গড়ে ওঠার প্রাথমিক প্রর্যায়ে কোনো না কোনো নদীর অবদান আছে। বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকাও তেমনি জন্ম নিয়েছিলো একটি নদীর গর্ভে। যে নদীর নাম বুড়িগঙ্গা। ঢাকা তৈরি হতো না বুড়ি গঙ্গা ছাড়া! আর সেই ঢাকার গর্ভধারণকারী মা বুড়িগঙ্গা আজ শহরের অবাঞ্ছিত দখলদার ভূমিদস্যু ও অকৃতজ্ঞ মানুষের আঘাতে আঘাতে বিষে লীন। তবুও অকত্রিম ভালোবাসার আধার বুড়িগঙ্গা আমাদের তার শেষটুকুও দিয়ে যাচ্ছে অকাতরে।
বুড়িগঙ্গার কাছে আমরা কতোটা ঋণী ? মায়ের কাছে সন্তান যতোটা ঋণী। বুড়িগঙ্গার কাছে এই শহরের মানুষের ঋণ শোধের দায় কখনো শেষ হবে না।
আসু্ন সবাই, মমতাময়ী বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাই ভূমি দস্যু দখলদার দানবদের হাত থেকে।...যদি ট্যানারি মালিকদের স্বার্থই বড় হয়ে উঠে যেনো একস্বরে বলতে পারি, আমাদের ট্যানারি শিল্পের দরকার নেই, আগে বুড়িগঙ্গা বাঁচাই! নদী-নালা-খাল-বিল বাঁচাই!!
(পুরোনো লেখা।)
-আইনুল বারী
-----------------
we all belong to an ancient identity. Stories are the rivers that take us there. -Frank Delaney
পৃথিবীতে কোনো সভ্যতাই গড়ে ওঠেনি কোনো না কোনো নদীর আত্মত্যাগ ছাড়া।শহরকে গর্ভে ধারণ করে মায়াবতী নদী। নদীর পলিতে জেগে উঠে উর্বর শস্যের অকৃত্রিম ক্ষেত্র,পর্যাপ্ত সহজ খাদ্যভান্ডার হিসেবে মাছ আরোহণের অবারিত সুযোগ,খাওয়ার উপযোগী মিষ্টি পানির ব্যবহার, গো-চারণভূমি, মানুষের চলার পথ, আর সেখানেই তাই মানুষের আবাস ভূমি, বিভিন্ন সভ্যতা। পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাগুলির গড়ে ওঠার প্রাথমিক প্রর্যায়ে কোনো না কোনো নদীর অবদান আছে। বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকাও তেমনি জন্ম নিয়েছিলো একটি নদীর গর্ভে। যে নদীর নাম বুড়িগঙ্গা। ঢাকা তৈরি হতো না বুড়ি গঙ্গা ছাড়া! আর সেই ঢাকার গর্ভধারণকারী মা বুড়িগঙ্গা আজ শহরের অবাঞ্ছিত দখলদার ভূমিদস্যু ও অকৃতজ্ঞ মানুষের আঘাতে আঘাতে বিষে লীন। তবুও অকত্রিম ভালোবাসার আধার বুড়িগঙ্গা আমাদের তার শেষটুকুও দিয়ে যাচ্ছে অকাতরে।
বুড়িগঙ্গার কাছে আমরা কতোটা ঋণী ? মায়ের কাছে সন্তান যতোটা ঋণী। বুড়িগঙ্গার কাছে এই শহরের মানুষের ঋণ শোধের দায় কখনো শেষ হবে না।
আসু্ন সবাই, মমতাময়ী বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাই ভূমি দস্যু দখলদার দানবদের হাত থেকে।...যদি ট্যানারি মালিকদের স্বার্থই বড় হয়ে উঠে যেনো একস্বরে বলতে পারি, আমাদের ট্যানারি শিল্পের দরকার নেই, আগে বুড়িগঙ্গা বাঁচাই! নদী-নালা-খাল-বিল বাঁচাই!!
(পুরোনো লেখা।)
Comments
Post a Comment