শুভ অশুভের লড়াই, বাংলাদেশ -আইনুল বারী
শুভ অশুভের লড়াই, বাংলাদেশ
(পুরোনো লেখা)
-আইনুল বারী
-- ------ ----
আমরা শুভ-র পক্ষে কাজ করতে গিয়ে ভীষণ ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাই, কেননা অশুভ আমাদের চোখ রাঙায় । চোখের সামনে শত অন্যায় কাজ হয়ে যেতে দেখলেও চুপ করে থাকি, যেনো তা নির্বিঘ্নে ঘটে যাক, কেননা অশুভ আছে তাদের পাহাড়ায় । আমাদের তথাকথিত ভালো মানুষগুলি ভীতুর ডিম হয়ে দোদূল্যমানতার পথ (এদিকেও আছি, ওদিকেও আছি) বেছে নেয়েছে, কেননা পরা্ক্রম দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজে অশুভ শক্তিকে যমের মতোই ভয় পেতে সবাই বাধ্য ।
অশুভ এভাবে আমাদের সবাইকে সস্তায় দখলে নিয়েছে। আমজনতা/ করণিক/মানবাধিকার কর্মী/বুদ্ধিজীবী/শিক্ষক-শ্রমিক/ শিল্পী/জন-নেতা কেউই ন্যায়ের পক্ষে সহজে কাজ করতে পারছে না। কারণ শুভ কাজে পথে পথে বাধা।
অশুভ-এর জন্য অবারিত প্রায় চ্যালেঞ্জহীন সুযোগ ও প্রতিপত্তি। বড় অপরাধীরা উম্মোচিত হচ্ছে না, ধরাও পড়ছে না, কারণ তাদেরকে রক্ষায় তাদের পক্ষে প্রবল হয়ে আছে স্বার্থেন্বেষী সহযোগী কুচক্রীরা; অপরাধী যদি ব্যাবসায়ী কমিউনিটির লোক হয় তার জন্যে কমুনিটির নেতারা তার গ্রেফতারে বাধা দিবে বা দিতে চাইবে, বা ক্ষমা চাইবে। যদি তিনি হকার বা পরিবহণ ঘরণার সদস্য হয়, তবে হকার ও পরিবণ সমিতি ও তাদের সংগঠনের প্রভাবশালী নেতারা বাধা দিবে বা সুপারিশ করবে, টেন্ডারবাজ ক্যাডার হলে গডফাদাররা বাধা দিবে, কোনো সুশীল, বুদ্ধিজীবী-শিক্ষক বা পেশাজীবী গোষ্ঠী হলে তারা বাধা দিবে, চাপ প্রয়োগ করে।
অশুভের পক্ষে চাপ নানা মাত্রার, নানা ওজনের আছে, স্থানীয় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আছে, বৈধ-অবৈধ দুই উপায়েই আছে। কিন্তু ভালোর পক্ষে খুব বেশি শক্ত অবস্থান চোখে পড়ে না । অন্যায়ের প্রতিবাদে বা সত্যের পক্ষে বেশ সংঘবদ্ধ কোনো পক্ষ নেই, আজকের দুনিয়ায় কেউ জোরালোভাবে তেমন একটা এগিয়ে আসে না। অশুভ'র দলের লোকজন জড়ো হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা কিছু শুভ-দেরকে তাড়িয়ে দিয়েছে। সুবোধ কষ্ট পেয়ে আড়ালে থাকে, অথবা পালিয়ে যায়, হারিয়ে যায়। পরাক্রম বুঝিয়েছে ভয়ার্ত সমাজে ভালো-মন্দ নির্বিশেষে গোষ্ঠীগত পতাকার নিচে থাকাই নিরাপদ ও লাভজনক। অশুভ-দের অপকৌশল কার্যকরী হয়েছে। তারা সমাজে সব স্থানে গোষ্ঠীগত স্বার্থ তৈরি করেছে ফেলেছে, তারপর গোষ্ঠীগুলোর নেতৃত্ব নিয়েছে। গোষ্ঠীর মধ্যকার ভালো-মন্দ বিভেদ তুলে ফেলে অশুভ-রা নিরঙ্কুশ রাজত্ব করে যাচ্ছে । অশুভ-র প্রচারণা চক্র শেখাচ্ছে, গোষ্ঠীর নিজের মধ্যে নিজস্ব ভালো-মন্দের লড়াই করাটা ভুল। এমন করলে গোষ্ঠী দুর্বল হবে, আর তাই গোষ্ঠীগত আত্ম-শুদ্ধিরও প্রয়োজন নেই । অল্প সংখ্যক শুভ-রা তাই নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় ভুলে যেতে বসেছে।
পরিস্থিতি এমন হয়েছে, স্ফুলিঙ্গের মতো অত্যন্ত ক্ষুদ্র সংখ্যক কিছু মানুষ এখন সৎ সাহসের সাথে সৎকাজ করে ব্যতিক্রমী উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারছে বটে, কিন্তু তার প্রভাব বিরাট সমাজে নগণ্য খড়কুটোর মতো। তাই, একটা উল্লেখযোগ্য পরিমাণের মানুষের এখন শুধু প্রয়োজন অন্তত বৃহত্তর স্বার্থে সত্য কথা বলার অদম্য সাহসটাকে অর্জন করা; আজ মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্য সাক্ষ্য দেয়াই অনেক বিবেচিত হবে। এটিই পরিস্থিতি পালটে ফেলার মতো ক্রিটিক্যাল প্রেসার তৈরি করবে। ধর্মের যে কল বাতাসে নড়ে সে কলটি কেবল আরো কিছুক্ষণ চালু রাখা দরকার। যদি আমরা মানুষের ন্যূনতম সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই, আমরা বেঁচে থাকতে পারবো। এমন বেঁচে থাকাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
অশুভ এভাবে আমাদের সবাইকে সস্তায় দখলে নিয়েছে। আমজনতা/ করণিক/মানবাধিকার কর্মী/বুদ্ধিজীবী/শিক্ষক-শ্রমিক/ শিল্পী/জন-নেতা কেউই ন্যায়ের পক্ষে সহজে কাজ করতে পারছে না। কারণ শুভ কাজে পথে পথে বাধা।
অশুভ-এর জন্য অবারিত প্রায় চ্যালেঞ্জহীন সুযোগ ও প্রতিপত্তি। বড় অপরাধীরা উম্মোচিত হচ্ছে না, ধরাও পড়ছে না, কারণ তাদেরকে রক্ষায় তাদের পক্ষে প্রবল হয়ে আছে স্বার্থেন্বেষী সহযোগী কুচক্রীরা; অপরাধী যদি ব্যাবসায়ী কমিউনিটির লোক হয় তার জন্যে কমুনিটির নেতারা তার গ্রেফতারে বাধা দিবে বা দিতে চাইবে, বা ক্ষমা চাইবে। যদি তিনি হকার বা পরিবহণ ঘরণার সদস্য হয়, তবে হকার ও পরিবণ সমিতি ও তাদের সংগঠনের প্রভাবশালী নেতারা বাধা দিবে বা সুপারিশ করবে, টেন্ডারবাজ ক্যাডার হলে গডফাদাররা বাধা দিবে, কোনো সুশীল, বুদ্ধিজীবী-শিক্ষক বা পেশাজীবী গোষ্ঠী হলে তারা বাধা দিবে, চাপ প্রয়োগ করে।
অশুভের পক্ষে চাপ নানা মাত্রার, নানা ওজনের আছে, স্থানীয় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আছে, বৈধ-অবৈধ দুই উপায়েই আছে। কিন্তু ভালোর পক্ষে খুব বেশি শক্ত অবস্থান চোখে পড়ে না । অন্যায়ের প্রতিবাদে বা সত্যের পক্ষে বেশ সংঘবদ্ধ কোনো পক্ষ নেই, আজকের দুনিয়ায় কেউ জোরালোভাবে তেমন একটা এগিয়ে আসে না। অশুভ'র দলের লোকজন জড়ো হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা কিছু শুভ-দেরকে তাড়িয়ে দিয়েছে। সুবোধ কষ্ট পেয়ে আড়ালে থাকে, অথবা পালিয়ে যায়, হারিয়ে যায়। পরাক্রম বুঝিয়েছে ভয়ার্ত সমাজে ভালো-মন্দ নির্বিশেষে গোষ্ঠীগত পতাকার নিচে থাকাই নিরাপদ ও লাভজনক। অশুভ-দের অপকৌশল কার্যকরী হয়েছে। তারা সমাজে সব স্থানে গোষ্ঠীগত স্বার্থ তৈরি করেছে ফেলেছে, তারপর গোষ্ঠীগুলোর নেতৃত্ব নিয়েছে। গোষ্ঠীর মধ্যকার ভালো-মন্দ বিভেদ তুলে ফেলে অশুভ-রা নিরঙ্কুশ রাজত্ব করে যাচ্ছে । অশুভ-র প্রচারণা চক্র শেখাচ্ছে, গোষ্ঠীর নিজের মধ্যে নিজস্ব ভালো-মন্দের লড়াই করাটা ভুল। এমন করলে গোষ্ঠী দুর্বল হবে, আর তাই গোষ্ঠীগত আত্ম-শুদ্ধিরও প্রয়োজন নেই । অল্প সংখ্যক শুভ-রা তাই নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় ভুলে যেতে বসেছে।
পরিস্থিতি এমন হয়েছে, স্ফুলিঙ্গের মতো অত্যন্ত ক্ষুদ্র সংখ্যক কিছু মানুষ এখন সৎ সাহসের সাথে সৎকাজ করে ব্যতিক্রমী উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারছে বটে, কিন্তু তার প্রভাব বিরাট সমাজে নগণ্য খড়কুটোর মতো। তাই, একটা উল্লেখযোগ্য পরিমাণের মানুষের এখন শুধু প্রয়োজন অন্তত বৃহত্তর স্বার্থে সত্য কথা বলার অদম্য সাহসটাকে অর্জন করা; আজ মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্য সাক্ষ্য দেয়াই অনেক বিবেচিত হবে। এটিই পরিস্থিতি পালটে ফেলার মতো ক্রিটিক্যাল প্রেসার তৈরি করবে। ধর্মের যে কল বাতাসে নড়ে সে কলটি কেবল আরো কিছুক্ষণ চালু রাখা দরকার। যদি আমরা মানুষের ন্যূনতম সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই, আমরা বেঁচে থাকতে পারবো। এমন বেঁচে থাকাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
Comments
Post a Comment