যদি এমন হতো? -আইনুল বারী
যদি
এমন
হতো?
-আইনুল বারী
-------------------------------------
সারা
দেশ
জুড়ে
কতো
লক্ষ
লক্ষ
মসজিদ-মাদ্রাসা-খানকা-মজলিস।
আর
কতো
লক্ষ
লক্ষ
আলেম-ওলামা,মুফতি,শায়েখ,মসজিদের
ইমাম,মাদ্রাসার
শিক্ষক,হাফেজ,
হুজু্র,মুহাদ্দিস,পীর,সুফিগণ,
সুন্নতের
চুলচেরা
আমলকারী
মুসলমান
ইসলামের
দাওয়াতে
মশগুল!
আহা,কতো
ভালো
হতো
যদি
দেখতাম
সমাজে
সম্মানিত
এই
মানুষগুলি
সকলে
মিলে
ওয়াজে,
মাহফিলে,
ক্লাশে
শুধু
উপদেশ,
বক্তৃতায় দিনের
পুরোটা
সময়
শেষ
না
করে
মানুষের
সেবায়
ব্যস্ত
থাকতেন!
-যদি
জংগীবাদের
বিরুদ্ধে
ধর্মের
অপবাখ্যার
পরিষ্কার
জবাব
দিতেন!
যদি
ধর্মান্ধতা
ও
চিন্তা
গোঁড়ামির
বিরুদ্ধে
তরুণদের
সর্বদা
সচেতন
করতেন!
-যদি
ধর্ম
রক্ষার
নামে
মন্দির
ভাঙ্গার
বিরুদ্ধে
আর
শুধুমাত্র
মুসলমান
না
হওয়ার
অপরাধে
নিরীহ
মানুষকে
নির্মমভাবে
হত্যা
করার
বিরুদ্ধে
ও
ধর্ম
প্রতিষ্ঠার
নামে
সাম্প্রদায়িক
ঘৃণা,
জংগীপনা
ও
সন্ত্রাসের
বিরুদ্ধে
তীব্র
সোচ্চার
হয়ে
পথে
নামতেন
এবং
পবিত্র
দায়িত্ব
মনে
করে
সংখ্যালঘু
পরিচয়ের
ভিক্টিম
পরিবারগুলির
পাশে
দাঁড়াতেন,তাদের
শোভাযাত্রায়
ও
শান্তিপূর্ণ
মিছিলে
অংশ
নিতেন!
-যদি
শিশু
হত্যা
ও
ধর্ষণের
বিরুদ্ধে,
নারী-শিশু,
পুরুষ-প্রাণীর
প্রতি
যাবতীয়
অন্যায়
ও
অবিচারের
বিরুদ্ধে
সামাজিক
সচেতনতার
আন্দোলন
গড়ে
তুলতে
আত্মশুদ্ধির
জিহাদ করতেন!
-যদি
পরিবেশ
ও
প্রকৃতিকে
বাঁচাতে
গায়ে-গতরে-চিন্তায়
ও
সামজিক
সচেতনতায়
একজোট
হয়ে
কাজ
করতেন!
পথের
ময়লা
পরিষ্কার
করতে,নদীর
পানি
পরিষ্কার
করতে,গাছ
লাগাতে,পাখীর
খাবারের
যোগান
দিতে
দিনের
কয়েকটি
ঘন্টা
ব্যয়
করতেন!
-যদি
রানা
প্লাজা
ধ্বংসের
মতো,
বস্তি
পুড়ে
যাওয়ার
মতো,
বন্যায়
গ্রাম
ভেসে
যাওয়ার
মতো
মানবিক
বিপর্যয়ের
মূহূর্তগুলিতে
নিজ
সামর্থ্যের
যা
কিছু
রিলিফ
নিয়ে
দলগত
ছূটে
যেতেন
! অসহায়
মানুষের
পাশে
গিয়ে
দাঁড়াতেন
ও
তাদেরকে
সাহস
দিতেন!
-যদি
ভিক্ষাবৃত্তির
বিরুদ্ধে
সচেতনতা
গড়ে
তুলতেন
, প্রতিবন্ধী
মানুষের
সাহায্যে
দ্রুত
এগিয়ে
যেতেন,পথ
শিশুদের
নিরাপদ
আশ্র্রয়ের
খোঁজে
কাতর
হতেন!
-যদি
চিকিৎসার
অভাবে
অন্ধ
হতে
বসা
কবির
জন্য
অর্থের
ব্যবস্থা
করতেন!
টাকার
অভাবে
পড়তে
না
পারা
মেধাবী
ছাত্রীর
পড়ালেখার
খরচ
বহন
করতেন!
অসুস্থ
রোগীকে
রক্ত,কিডনী,চোখ,অর্থ,সহানুভূতি
দেয়ার
জন্য
উদ্বুদ্ধ
করে
লোক
জড়ো
করতেন!
-যদি
মসজিদে,
মাদ্রাসায়,মাহফিলে
হাজার
হাজার
মানুষকে
এ
সব
কল্যাণের
কথা
বলে
মুগ্ধ
করতে
পারতেন!
আর
পাঁচ
ওয়াক্ত
নামজে
বিনীতভাবে
দাঁড়িয়ে
আরও
আত্মশুদ্ধির
জন্য
জন্য
আল্লাহর
কাছে
অনুগ্রহ
চাইতেন!...
তাহলে
সমাজে
মুসলমান
এই
শব্দটি
হতো
কতো
না
মর্যাদার, আত্ম-সম্মানের!
এমনইতো
হওয়ার
কথা
ছিলো।
তাহলে,
কোথায়
ভুল?
(পুরোনো
লেখা।)
Comments
Post a Comment